বাংলাদেশের চেয়ে আয়তনে ৫২ গুণ বড় হলেও অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ঢাকা শহরের সমান, বর্তমানে প্রায় দুই কোটি ৭২ লাখ। ২০২৪ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার মাত্র ২.১ শতাংশ।
করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর সীমান্ত বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা খুলে দেয় অস্ট্রেলিয়া। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকার কর্মক্ষম ব্যক্তি ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়। এতে জনসংখ্যা কিছুটা বাড়লেও, স্থানীয়ভাবে শিশু জন্মের হার থেকে বোঝা যাচ্ছে অভ্যন্তরীণ প্রবৃদ্ধি অনেকটাই স্থবির।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানদের সংখ্যা বর্তমানে এক লাখের কাছাকাছি। এদের বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়ে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন। তবে অদক্ষ শ্রমিকের প্রবেশে বিধিনিষেধ থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়েনি। ২০২৩ সালে প্রায় ১৪ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন, আর ২০২৪ সালে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক সময়ের ব্রিটিশ উপনিবেশ অস্ট্রেলিয়া আজ একটি অভিবাসী ভিত্তিক সমাজ। নাগরিকদের প্রতি তিনজনের একজন ভিন্ন দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং প্রতি দুইজনের একজনের বাবা-মায়ের জন্ম বিদেশে। স্বল্পমেয়াদি ভিসায় আসা শিক্ষার্থী ও কর্মীরা অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখে চলেছেন।